
দোয়েল পাখির শোক
ওই দেখা যায় জ্বলছে আগুন
মায়ের পেটে, নাভিতে
জ্বাললো কারা পুড়িয়ে খেতে
ভাগা ভাগির দাবিতে।
উড়ছে ধোঁয়া নাকের শ্বাসে
ভোরের সূর্য হাসে
কাকের ডাকে ভাঙলো ঘুম
মায়ের সর্বনাশে ।
যেমন হলো মাংস পোড়া
সেদ্ধ হলো তেমন
খানিক পরে খবর কবে
খাবেন কারা কেমন।
মায়ের ছেলে ছিনলো আজ
শান্তি মায়ের বুকে
ছেলের জ্বলা আগুনে তাই
মা মরছে ধুকে ধুকে।
মায়ের ঘরে পাহারা দেন
উজির সেনা হাজার
রক্ষে তবু হলো না তার
কী আসে যায় রাজার।
ডালিম গাছে দোয়েল পাখি
কাঁদছে পোড়ার শোকে
ধরতে পারে মোড়ল-সেনা
বলছে পাড়ার লোকে।
____________
শেয়ালের মতো গোয়াল
তোমার পোয়াতি বুকের শালদুধ
ক্ষুধার্ত শাবক সেজে ঘোত ঘোত করে যারা
গিলে খেতে বাড়িয়ে দিয়েছে চোয়াল
তারা আসলে কার্তিকের বেওয়ারিশ কুকুর...
দাঁতালশুয়োরের আদিম জাত
মুরগী পাহারা দিতে আসা শেয়ালের মতো গোয়াল।
ওদের বাঘের থাবার মতো শকুননখ-দাঁতাল ঠোঁট
লেগে আছে আজও পুরনো রক্ত মাংস
গতকালের বিপ্লবী, মেহনতি মানুষের ঘাম
ওরাও ভুলে যাবে আমাদের পূর্বপুরুষের মতো
যারা রক্ষা করতে চেয়েও করেনি
স্বাধীনতার ভোর আনা মানুষের ত্যাগের দাম।
একের পর এক পালাবদল করে
সঙ্গমসঙ্গীতের বাদ্য বাজাতে বাজাতে
মার্চ মুছে ফেলে প্রাসাদমুখে চলে ওদের ধর্ম
চষে যায় তোমার সুজলা সুফলা উর্বরা জমিন
যেন তোমারই নাভীতে শ্বাস নিয়ে হয়
ওদের অনুরূপ নতুন দাঁতাল জাতের জন্ম।
২৪ অক্টোবর ২০২৪ (তারিখটি গুরুত্বপূর্ণ)
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,