৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
চারটি কবিতা

জীবনমুখী গান
বিশ্বাসের প্রশাখায় ধোঁকার নীলাভ ফুল 
নিজস্ব মণিকর্ণিকায় হেরে যাই 
তোমার প্রথম দিন আর তোমার 
শেষ দিনের মাঝে সাতটি গিরগিটি 
কষ্ট বিক্রি করে আবির কিনি 
হৃদয় রঙিন করি দুঃখের আলপনায় 
লাশকাটা ঘরে জীবনমুখী গান গায়
অনেকের হরি ডোম 
--
ধর্ম-দালাল
অশ্রুর দাগ গভীর হয় উপল কপোলে
মারিয়ানা মুখ ঢাকে লজ্জায় 
লবণ-পর্বতের গায়ে সমুদ্র লিখতে লিখতে
ফুরিয়ে যাবে ঈশ্বরের কালি 
মাটি-মানুষের জন্য কোনো একদিন 
ঠুঁটো জগন্নাথ মুখ খুলবে -
বলবে, মাটিতে আঁচড় কাটলে 
আমার বড্ড লাগে হে ধর্ম-দালাল !
--
ঘাস
আমার মরণশীলতার দোহাই 
বুকে আরও বজ্রাঘাত করো 
আঘাত গুনতে গুনতে হব শ্মশান-দিগম্বর 
অর্জুন গাছের কাছে দীক্ষা নিয়েছি
তোমাদের ধারালো খুরপির বিরুদ্ধে 
আমি এখন সাইবেরিয়ান ঘাস 
সান্ধ্য আঙিনায়
এখনও ছেয়ে আছে তোমার অভিমানী মেঘ 
খুনসুটে  ঝিরঝিরে বৃষ্টি এ বুকে 
হওয়ায় উড়ছে কালো চিকুরের ঘ্রাণ 
খোলা বোতামের জানলায় জানলায় 
তোমার নগ্ন বাহুলতা স্পষ্ট দেখতে পাই 
নীরব দুপুরে মনের দ্বারে বসে গান গায় 
উদাসীন স্মৃতি 
তুমি কাছে নেই তবু 
ছায়াদের সাথে কথা হয় 
পাতলা গোলাপী ঠোঁটের সান্ধ্য আঙিনায়….
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

ওয়াহিদার হোসেন
কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?
কবিতা৭ মে, ২০২৪

জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব
কবিতা৭ মে, ২০২৪

শ্রী সদ্যোজাত 
একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,
কবিতা৭ মে, ২০২৪