
নীল শূন্যে
আউশের ঘ্রাণ লেপ্টে আছে জলের শিথানে।
পালাবদলের সুর বৃষ্টির রেশ দেখে যায় অলৌকিক বিভায়
অথবা জৌলুস ঘিরেছে তাকে আহত বিম্বের মতোন
শিলালিপিতে লিখে যাওয়া অনিশ্চিত অন্ধ ঘোর-ঘরানা যেমন।
আলোর চারপাশে ঝুলে থাকে আঁধার নিরন্তর
কারুকাখচিত সাহসী ভ্রূণ নাচায় বিশ্ব পরমানন্দে সারাবেলা।
হুটোপুটি খাওয়া রোদের ঝিমিয়ে পড়া দেখে যাওয়া অসহ্য ডানায়
ডুবেছে বংশাইয়ের জলে এত্তটুকুন ছায়া
তরঙ্গে যার শুয়েছিল সমুজ্জ্বল সুবাতাস।
গাঢ় আড়াল ছুঁয়ে ছেপেছে এই পর্ব কোনও নগ্ন সময়
অযথাই তীর্থে বেড়ানো নতুন আলোয় পুড়েছে জীবন
সকল ছিন্ন হলে সব থেকে শেষে
হারানো নাকছাবিতে পড়িয়ে নিও সুদৃশ্য ভালোথাকা,হে অনাম্নী
শরীর জুড়োনোর দায়ে নেমো এই ফাঁকে নতুন বর্ষার জলে
আশ্বিনে উৎসব ছড়ায় নীল শূন্য বলয়ে।
_________
ভেজা অক্ষরে
দৈর্ঘ্য জুড়ে প্রপাত।
ঘুমের সীমানা ছেড়ে পরাজিত মুখোশের নামে।
জীবন নয়তো জীবনের মতো প্রাঞ্জল...
অনভ্যস্থ শরীর বিকোয় প্রহর।
নাতিদীর্ঘ কারুকার্যে আড়াআড়ি পথ—দিগন্ত নির্ভর
তবে কি পৌঁছুচ্ছে সময়? বোবা মানুষের মতো!
দোজখ বেশে নিখত নিশ্চুপ দাসযুগ ক্ষয়েছে আরশিতে
মুদ্রণে বাজে নাতো পবিত্র সেতার; স্রোত জলসায়
হৃদনে বাজে নাতো বৃষ্টি-চতুরঙ্গ।
জলের সংবাদে তবু কোন কাল-কথা লেখা?
মেঘ শহরে মুছে যায় য় কার শিলালিপি
?
জোনাকি আখড়ায় পোড়ে অনার্য পুরান।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,