
১।
ক্ষমা করো গাছ পাতা মৃয়মান নদী
ক্ষমার যোগ্য হবো ক্ষমা করো যদি
বাঁশ পাতা ঝোপঝাড় বাংলার মাঠ
ক্ষমা করো রাত জেগে পুথি শ্লোক পাঠ।
ক্ষমা করো ঝিঁঝি আর জোনাকির দল
ইমামুদ্দিন থেকে যতো ভিরু পরিমল।
ক্ষমা করো পাঠ খেত গম সরু দানা
ক্ষমা করো শুরু থেকে যতো অজানা।
ক্ষমা করো প্যাচা আর ভোরের ডাহুক
ক্ষমা করো দুঃখিনীর জমা যতো শোক।
ক্ষমা করো রাত জাগা হুতুম প্যাচা
দিনশেষে দেখি সব বৃথা কেনা-বেচা।
ক্ষমা করো বসুদা যতো ফেলে আসা
ক্ষমা করো লাল নীল বৃথা ভালোবাসা।
ক্ষমা করো উত্তরে বিস্তৃত বন
ক্ষমা করো জীব জড় মহামান্য গন
ক্ষমা করো সোঁদা গন্ধী বাংলা পলিমাটি
যেখানে চরণ ফেলি মহানন্দে হাঁটি।
ক্ষমা করো অপেক্ষিত মহা দুই ঈদ
ক্ষমা চাই করজোড়ে আমি ওয়াহিদ।
____________
২।
হে মহামান্য রাস্ট্র —
আমি তোমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবো না-
শুধু কবিদের পাগলামি মেনে নাও;
প্রকাশ্যে ভালোবাসার স্বীকৃতি দাও;
আমি তোমাদের পতাকায় কখনো
লালায়িত কুকুরের মতো লিপ্সাযুক্ত দৃষ্টি রাখবো না;
শুধু আমাদের প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার অধিকার দাও;
আমি তোমাদের পৃথিবীতে যুদ্ধ দেখতে আসিনি।।
প্রেমহীন বৃক্ষের হাহাকার দেখতে আসিনি। তোমরা গোলাপ ফুটাও;
তোমরা প্রেম ও সঙ্গমের জলে রাস্ট্র সাজাতে ব্যর্থ।
বোমের বদলে করকমলে স্তন ওতো রাখতে পারো।
তোমাদের নারীরা বন্দুকের নলের বদলে কী লিঙ্গে হস্ত স্থাপন করতে পারে না?
তোমাদের শিশুরা কি শুধুই চিনে ইউক্যালিপ্টাস?
বিষাক্ত ইউরেনিয়াম? মারণাস্ত্র?
তোমরা রাতগুলো রাজনীতি আর অর্থ সংকটের চিন্তায় ব্যয় করো?
নারীর শরীর, উরুতে উরু, শিশুর হাসি—
নাভি নিম্নে অষ্টাগ্র— তোমাদের কাম্য নয়?
তোমাদের হাতে শয়শয় তৈরি হয় মারণাস্ত্র!
তোমরা নারীর দেহ আবিষ্কারের বদলে গহিনারণ্যে খোঁজ গুপ্তধন!
তোমরা স্বপ্ন দেখার ছলে দেখে আসো নিজেদের সর্বনাশ!
তোমরা ডাকপিয়নের মাধ্যমে নিমন্ত্রণ করো কালো ফণী— সুনামি আর ভয়ানক মহামারী!
হে মহামান্য রাস্ট্র ব্যবস্থা—
আমি তোমাদের পৃথিবীতে আর কোনো দাবি নিয়ে আসব না।
শুধু আজ আমাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি—
মাতৃগর্ভে শুয়ে শুয়ে দেখেছি জীবন শুধু মাত্র অন্যদের সঙ্গমের চূড়ান্ত ফলাফল!
মৃত্যু কি অন্যদের হৈ-হুল্লোড় নয়?
হত্যাযজ্ঞ কিংবা নিজস্ব মৃত্যু সভ্যতার নিজস্ব গর্ব।
হে মহামান্য রাস্ট্র ব্যবস্থা—
আমি তোমাদের ঋণী করে চিরকাল লুকিয়ে থাকবো।
তোমাদের বুকের উপর,চোখের উপর, নির্মল অষ্টাগ্রের উপর
চূড়ান্ত বাহাদুরি দেখিয়ে চিরদিন ঘুমিয়ে থাকবো—
তোমাদের বুলেট ব্যারিকেড, তোমাদের নৌ-ও পদাতিক বাহিনীর দিকে কলহাস্য ছুঁড়ে দিয়ে—
তোমাদের মহত্ত্বের আড়ালের দানবদের তিরস্কার করে যাবো চিরকাল।
হে পৃথিবীবাসি - ফুলের বদলে ত্রিশূল, প্রেমের বদলে ক্রুদ,
সঙ্গমের বদলে মাস্টারবেট,
চুমুর বদলে সুইসাইড, নর্তকীদের দিগম্বর উরুতে পড়ে থাকা যে বীর্য ফুটা —
কখনো কী সভতার স্তন বরাবর তাকিয়েছ লালায়িত দৃষ্টিতে?
সঙ্গম কি শিখায় নি নিজস্ব পিতা?
বৃষ্টির জল ছুঁয়ে কসম খাওনি মাতৃভক্তিতে?
প্রকৃতির সহোদর বলে নি মিনতি করে—খাদ্য
বস্ত্রের পাশাপাশি প্রেম ও চুম্মনের দাবি—
হে মহামান্য রাস্ট্র ব্যবস্থা—
তোমাদের অবগত মিশনারী ওয়ার্ম কিংবা ডগি?
পাশাপাশি জড়োসড়ো হওনি কখনো?
কখনো কি নহবত তার মতো পলতকা হওনি চন্দনের বনে?
আশ্বিনের শেষ রাতে শাল পাতাদের জোছনা আসেনি উঠোনে?
কখনো কি নিজেকে রেসকিউ করতে বের হয়েছিলে বৃদ্ধ রাতে?
পৃথিবীর হাহাকার দেখনি কখনো, মাতৃগর্বের শিশ্ন দূরবীন তাক করে!
কাকে দোষি করে যেতে চাও চিরকাল;
পিতার নষ্টামি? মায়ের নেকামি?
পিতা— সে তো মায়ের কাছে কামুক পুরুষ!
মা— সে-তো পিতার কাছে কামনার নদী!
তুমি.?
সে-তো সভ্যতার শেষ নষ্ট
দের প্রধান!
এতএত হে মহামান্য রাস্ট্র ব্যবস্থা—
জন্মের ঋণে কাকে দোষারোপ করা যাবে আজীবন?
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,