
শুয়োরের খামাড়ের দিকে যাচ্ছি ভাবছি। হাঁটুনিটা রাতেই ভালো হয় কয়ে রাতের হাঁটুনি। কিছুটা দূর যাচ্ছি, খসে পড়া সাদা মুরগির পাখনা কতগুলো ছড়ানো, খসে পড়া মুরগির সাদা পাখনা ছড়ানো। ছোটো বড়ো মাঝারি নানা সাইজে। ওতে চোখ পড়াতে, রাস্তায় চোখ পড়াতে পাখনা এবং সাদা বিষয়টা মাথায় ঘুরছে। এই মুহূর্তে ওটা মাথাটাকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। কে যে খামচে দিল মুরগিদের (অথবা একটি হলে মুরগিকে)। ওগুলো থেকে চোখ সরিয়ে চোখ দুটোকে আরেকটু দূরে ফেলতে মনে হলো ওহ্ আচ্ছা আচ্ছা মুরগির ফার্ম, পোলট্রি মুরগির ফার্ম, নাদুস নাদুস। আহা কী তুলতুলে। গোস্ত ছাড়া আর কী। কাছেই এদিকটায় ও গোস্তের শরীর বিক্রি আছে। ব্রয়লারের ফার্ম। বাস্না রে ভাই বাস্না, গন্ধ, কেমন একটা। বমি এসে যেতে পারে। গলায় আটকে গিয়ে বিবাদ বাধাতে পারে। খেতে যদিও মাংস সুস্বাদু। চাহিদা অনেক৷ মাংস মানেই চাহিদা। নরমাংসও বিকোচ্ছে বাজারে কত। অবশ্য ওটা লিখে গুগলফুগলগুলোতে সার্চালে নাকি ঠিকঠাক উত্তর মেলে না। বরঞ্চ পুলিশে ধরে। সাইবাবা, উহ্ সাইবার। যাহোক শুয়োরের খামাড়টা কি তবে উধাও হলো? আমাগো বাথানগুলো যেমন করে। তেমন কিছু নয় বোধয়। কেননা কেউ বলছে মনেহচ্ছে, বলছে, ধোর্বাল বলে শুরু করেছে, শুনলাম তো শিওর, বলছে শুয়োরের খামাড়ে বসে শালা শুয়োরের খামাড় করছিস। বুঝতে পারছি শুয়োরের খামাড়ে বসে বলতে বাস করার কথাই বলতে চাওয়া। ব্যাপারটা নিয়ে ঘটনা হলো আগে তো আদৌ অতটা ভাবিনি। তাছাড়া অর্গানিক গাঁজা, দেশি মদে আর কার কতটা নেশা হয়, ভরসা পাই না, পাত্তা দেওয়াটা কি ঠিক হবে? পিঠের কাছে কোথাও মানসাইয়ের চড়ায় কিংবা ঘরের আঙ্গিনার এক নিবিড় কোণায় কেউ দেশি গাঁজার চাষ— কী আফিম— আহা কমলাকান্তকে খুঁজে দেখা দরকার— কথায় কয় খুঁজলে খোদা মেলে। যাকগে হাঁট। আরও হাঁটা চাই। পদচারণ। পদযাত্রা। পথযাত্রা। সব ক'টা শালা সেম। শুনতে। প্রায় সেম। সেম সেম। যাত্রা মানে জার্নি। যাত্রা মানে পথে। পথেই দেরিটেরি। জার্নি জারি। বেশ বেশ। পথে করে, পদে করে যাত্রায় বেরুনো আরেকটু আরেকটু। দূর দূর আরও। খামাড় বিষয়টা হয়তো আমি এইক্ষণে ভুলেই যেতে চাইছি। শুয়োর বিষয়টাকেও হতে পারে৷ যদিও বন্য নাকি পোষা, শুয়োর, সে গোড়াটুকুরই মীমাংসা করতে পারছি না ঠিক ঠিক। ইদানীং এদিকটায় হাতি উরফ্ মহাক্বালবাবার পাশাপাশি শুয়োরের মধ্যে বন্যদের নাকি আমদানি হয়েছে প্রচুর। এরাও নিশ্চয় রাশি রাশি কচু খায়, কচুর ডাটা না মুড়া কোনটা অত্যধিক প্রিয় হতে পারে এদের? এই ক্ষণে মনে পড়ছে আমার রু, আমাদের রু একদিন শুয়োর দেখতে চেয়ে বায়না জুড়েছিল। সত্যিকারের শুয়োর, শুয়োরের বাচ্চা দেখতে চেয়ে। নিজেই দেখতে কতক্ষণ? সুন্দরতম পেপা পিগেদের সে বোকাদের বাক্সে আর স্মার্ট হইবার ফোন দু'টোতেই দেখেছে ইতিমধ্যে। সত্যিকারের শুয়োর/শুয়োরের বাচ্চা মানুষ/মানুষের বাচ্চা ইত্যাদি ধরনের প্রজাতি ও তাদের আন্তসম্পর্ক, তাদের প্রতি সম্বোধনে মনুষ্য-সমাজে হের-ফের বিশেষত রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিডিয়া বাইটে কী দাঁড়াবে ব্যাপারখানা এসব ভাবতে চাইলেও হচ্ছেই না। মগজটায় বোধয় প্রচুর বাগ জমেছে। আপডেট হচ্ছে না আজকাল। সব আউলা আউলা, আউলানো মালুম হচ্ছে। কারণাদি? লিস্টি করতে পারলে বেশ হত সেটা। রাত্তিরটা পোহাক। কাল সকাল সকাল হাপ্পাহাপ্পা নাপাশাক+আলুভর্তা সঙ্গে ধোয়া ওঠা অর্ধসানকি গরম ভাত, এই চাই। খুলুক এট্টু ব্রেনটা।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

সোয়েটার
গন গনে নীল শিখা মেলে গ্যাসের উনুন জ্বলছে। কেটলিতে জল সেই কখন থেকে ফুটে চলেছে। বাষ্প হয়ে অর্ধেক জল মরে গেছে। সেই দিকে কোনও খেয়াল নেই নীলার। সে একটা বেতের গদি মোড়া আরাম চেয়ারে বসে আছে। কিচেনটা ঢের বড়। প্রায় প্রমাণ সাইজ একটা ঘরের মতো। এখানে বসে উলের কাঁটায় শব্দ তুলে সোয়েটার বুনে যাওয়া তার একমাত্র বিলাসিতা। শীতের দিনে আগুনের এই উত্তাপটা কী যে আরামের, নীলা তা কাউকে বোঝাতে পারবে না। গ্যাসটা কতক্ষণ জ্বলছে সে দিকে তার কোনও খেয়াল নেই। চায়ের জল বসানোটা আসলে একটা ছুতো। শীতের রাতে আগুনের উষ্ণতাকে সে প্রাণ ভরে উপভোগ করে নিচ্ছে। গ্যাস পুড়ছে পুড়ুক। সেই নিয়ে সে মাথা ঘামায় না। তার স্বামী বিপুলের টাকার অভাব নেই। তারা বিশাল ধনী না হতে পারে কিন্তু এই সব সামান্য বে-হিসেবী খরচ করার মতো তাদের ঢের পয়সা আছে।

এখানে আসবে না কেউ
চেক - হ্যালো টেস্টিং - শুনতে পাচ্ছেন? শুনুন – জানালা দিয়ে হাওয়া ঢুকে গেল। ক্যালেন্ডারটা উড়ছে। দেওয়ালে ঘষটানির একটা শব্দ। পুরোনো বছর উড়ছে। আমি ৩১শে ডিসেম্বরে এসেই থমকে গেছি। বাইরে নতুন বছর চলছে, আমি পুরোনো বছরে। কীরকম অদ্ভুত লাগে। কাকতালীয় ভাবে দেওয়াল ঘড়িটাও বন্ধ। ব্যাটারি শেষ।

অবনী বাড়ি আছো
“আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া ‘অবনী বাড়ি আছ?”