
১)
যখন স্নান সেরে আসি
মনে হয় ভোরের আলোর মতো জড়িয়ে ধরি তাকে
কপালে চুমো দিই, নাক ঘষে দিই নাকে
শরীরে হাত রেখে বলি, 'আজ থেকে তুমিই দেবতা আমার
সমস্ত আলো জ্বেলে নিকটস্থ হলে'
এই চৈত্রে বসন্তের ফুল কুড়োতে যাব
খুব ভোরে উঠে চলে যাব মেঠো দারুর আড্ডায়
সেখানে অজস্র দৃশ্য দিলবাহারী মৌতাত
গতরাতের গল্প হয়ে ভীষণই হৈ হৈ করে
যদি অনুমতি দাও ডিঙিয়ে যাব বেড়া রাঙচিতার
কীভাবে বশ করবো জানি না
কীভাবে নিয়ে যাব ছোট্ট সেই ভোরের ভিতর
যেখানে প্রাণপনে হেসে ওঠে জলকুমারীর দল
যে নারী ছলা কলাহীন তাকে ভালোবাসা কঠিন?
যে নারীর হাত কর্কশ
যে নারী বয়ে যেতে শেখেনি তরল অভ্যাসে
তার জন্য হৃদয়ের বাতাস শীতল করে রাখে না কি কেউ?
দৃষ্টিহীন, বাকহীন, প্রতিবন্ধী প্রতিমাই সকলের প্রিয়!
আমি বিশ্বাস করি তুমি আসলে ঠিক তেমনটাই
যেমনটা হলে সচরাচর
ভিনদেশী নাবিকও অতিনিকট হয়ে পড়ে
২)
এত কোলাহল
তবু এত নৈঃশব্দ্য
এত দৃশ্য
তবু অদৃশ্য যেন চতুর্দিক
এভাবে বারবার কে ডাকে?
কোনো শুশ্রূষা কি নেই
সব ভুলে যাওয়ার?
কেন হত্যার লোভ
চকচক করে আগের চেয়েও বেশি?
সমস্ত ফলের বাগান শূন্য
সমস্ত হাটবাজার শূন্য
সমস্ত জনপদ শূন্য
শুধু ভরাট হয়ে আছে কার নগ্ন দুটো চোখ
চোখের ভিতর ভিতর নগ্ন বিরাট প্রত্যাশা
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,