
সময় বয়ে চলেছে, আমরাও চলেছি । তবে সভ্যতার দিকে নয় সভ্যতা থেকে দূরে, আমাদের অন্তিম কালের মৃত্যু শয্যায়! যে চলা প্রকৃতি থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে নেয়, ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে হারিয়ে যায় যোগসূত্র তাকে আর যাইহোক সভ্যতা বলা যায় না। প্রকৃতি থেকে দূরে সরতে সরতে , দূরত্ব বেড়ে আলোকবর্ষ। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখন কোনোএক গত জন্মের রূপকথার মতো, তাই তার রাগ, দুঃখ, অভিমানে আমাদের দরদ তো নেইই; দায়িত্বও নেই বলে মনে করি। ক্ষণিকের খণ্ডিত সুখে, আগামীর সমগ্র পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ।
আর সময় নেই , এখনই ফেরা প্রয়োজন। নতুন করে গড়তে হবে আবারও সবুজ আর নীলে। ফিরিয়ে আনতে হবে আদিম পৃথিবীর বিশুদ্ধি। প্রকৃতির প্রতি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণেই আমাদের মুক্তি, আমাদের টিকে থাকা, নতুন আগামীর সৃষ্টি।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

আমার রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ হলেন জ্ঞান ও বোধ। তোমাদের আঁচলে কি ? কি বাঁধা আছে ? জ্ঞান ও বোধ বেঁধে রেখেছো কেন ? আঁচলে চাবি গোছা।তার সাথে রবীন্দ্রনাথ।সকল মায়ের আঁচলে বাঁধা।সন্তান ছুটতে ছুটতে চলে এল।চোখে ঘাম।মুখে ঘাম।পায়ে ধুলা।ছেলে মেয়ের পৃথক গামছা।গামছায় ছেলে মেয়ে পরিস্কার হল। মা ওদের তো রবীন্দ্রনাথ দিলে না ? রবীন্দ্রনাথ গামছায় নেই।রবী আছেন আঁচলে।

রঞ্জিত কথা - শঙ্খ ঘোষ
রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি-র সেই কথা মনে পড়ে –‘আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে’। সেই অন্ধকারে এঁকে রাখা ছবিগুলো যা রঞ্জিত সিংহ’র ভেতরে একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থেকে গিয়েছিলো, আমি সেগুলোকেই আলোয় আনতে চেয়েছি। ‘রঞ্জিতকথা’ তাই।

গাছ
চুপ করে বসে থাক আর শোন। গাছেরাও কথা বলে জানলাম কাল। সকালে হাই তোলার মত করে গাছেরাও শব্দ করে শুকনো,ভেজা পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফ্যালে সকালের প্রথম হাওয়ায়। তারপর একটু হাত পা নাড়িয়ে ব্যায়াম করে, সকালের রোদে। শুকনো ডালগুলোর মড়মড় আওয়াজ শুনলে বুঝবি।