
অণুগল্পকথা
১
এখন কোনো ভীষণ আনন্দ নেই অথচ আনন্দ আছে। কীভাবে হারমোনিয়াম নিয়ে বার বার ভাবছি। ভাবছি স্বপ্নের ভিতরটা একটা ফাঁকা ইশকুলের যন্ত্রণা। রাতবিরেতে পোশাক নিয়ে ভাবা। যখন কিছু ভাবা নয়— একটা ভাঙা অ্যাকুরিয়াম মাছে ভরা। একটা পালঙ্ক অদ্ভুত, মানুষহীন। আজ এইসব কবিতা ভাবতে পারছি না। এইসব কিছুই না। কিছুই হয় না যখন। ঘরবাড়ি হয়, সারা দুপুর খানাপিনা, সারা সন্ধ্যা বইয়ের বাদন কীভাবে বাজে, সারাটা সন্ধ্যা আরও কু ঝিকঝিক, সারাটা রাত্রি যখন অনেক রাত্রি আর অনেক রাত্রি যখন আরও অনেক রাত্রি, এই তো বাবা আর আমি গল্পে থাকি
২
আজ আমি কোনো কথা বলতে চাইনি অথচ এত কথার বেজন্ম হয়েছে। সারাটা জীবন যখন জীবনই না। জীবন কোনো কিছু থেকে জন্মায় না। জীবন কোনো কথাই বলে না। শঙ্খ বাজে। একটানা শঙ্খগীত, বিছানা গোছানোর গল্প শুনি, কীভাবে ভাতের প্রারব্ধ তৈরি হয়, আমরা সপরিবার গল্প করি, সন্ধ্যা পার করি, ইচ্ছা করি না কিছু, কোনো একটা দিন কোনো একটা রাত এখন গল্প শোনার দিনরাত, একটি জোড়া হাঁসের কাহিনি, কোন এক লোককথায় বরফের কন্যা মানুষের মধ্যে জল হয়ে যায়, কোনো এক দিন তখন এক রাতের সঙ্গে কে যেন গল্পে মাতে
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,