
চতুর্ভুজ
সদ্ব্যবহার করা দোলনার চারদিকে ঘেরা হাত
দুলছি, নামতে পারছি না
নামলেই পাথর লিখে ফেলবো, এমন নয়
নামলেই খাতায় নাম খোলা যাবে, এমন নয়
আমার চারদিকে ঘেরা হাত
আমার চারদিকে আয়নাভাঙা শব্দ
উৎসব থেকে ছাইনেভা ছায়ায় এসেছি
গোলাপ গাঁথতে চেয়ে
পাপড়ি সরিয়ে
দিচ্ছি রোজ……
__________
আবহ সঙ্গীত
“ হাত ধরতে শেখো
ভালোবাসা ঈর্ষা নয়
বস্তুত প্রার্থনা”-----(কবি পীযূষ ধর)
অথচ আবহসঙ্গীতে দস্তানার ভূমিকা তুমি লিখে ফেলেছো। দয়ার দিকে ছাউনি বসেছে বিশ্রামের। চকচকে হাঁসের ইতিহাসে তোমার নাম মুছে পাতাল থেকে যাচ্ছে। কালো ঘোড়া ও প্রাকৃতিক তোমার উপকূল। ভেজা আগুনের গল্পে কিশোরীরা এসেছে খনিভর্তি অবাকে। বন্দর ফেরাতে ফেরাতে যুদ্ধ ফেটে যায়, তুমি যতোদূর বাসার দিকে ফুটতে থাকবে, ভাষার কাছে যতোদূর রেখে যাবে শীত সম্ভাবনা, ভালো ভাবতে ভাবতে প্রার্থনায় টপকে যাবে ওষুধ ও নাব্যতা, ভাবো ধারালো ফলেছে নিরস্ত্র হাতের সরলে। সারসার খিদের মহড়ায়।
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,