
মায়া
তাড়া নেই। ঘড়ির উল্টো দিকে পথ
চৈত্রে সামান্য তেলে নিমপাতা ভাজা
দুয়ারে গোধূলি। বুকে বড়ো ভয় ওঠে
প্রসাধন মানে জানি বোরোলিনে সাজা
কতক বুঝি, কতক বুঝতে পারিনা যে
শাঁখা নেই পলা নেই, বিষাদের দেহ
যে-পথ গৃহের তাকে তীর্থ রূপে মানি
ঝড়-জলে উথলায় গরীবের স্নেহ
__________________________
গাছের কোটরে
যে সব গল্প শেষের পথে রোজ হাঁটে না--
বসে থাকি সামনে আমার নিধুয়া পাথার ...
বাওকুমটা বাতাস তুমি কোমল গানে ;
তাসের ঘরেও ভাবনা জমে কয়েক হাজার
এই যে তুমি অতর্কিতে কাছে আসো,
অবরোধের গদ্য আমি কোথায় রাখি ?
দূর বলতে দূরত্বতে চোখ রাখি না
বৃত্ত না হোক কুয়াশাতেই বর্ণ আঁকি
মিথ্যে নয় খরস্রোতা, দিগন্তে নিশান ওড়ে--
ক্রিয়াপদে এত সংকোচ কীভাবে বোঝাই !
পাহাড় যেমন পাহাড় থাকে ছায়াপথে
জল-শব্দের আবহমানে তোমাকে সাজাই
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,