
১।
হলো না, হয় না, যেমনটা জল চায়,
ধর্ম মানে, সংসারটাও করে
একই থেকে যায় ভৌত বা রসায়নে
জঙ্গম ছাড়া বাতাস পারে না
ধর্ষণে ধর্ষণে তপ্ত ঘোলা ঝাঁঝালো
হয় না, যেমনটা চায় ধর্মে বসত
মানুষের ভীষণ হয়, যখন যেমনটা চায়
১৪/১২/২০২৪
____________
২।
সামনে এতটা ফাঁকা! না সম্ভব নয়
পেছনে গোটাটাই ফাঁকা! কেন, কেন যে!
ডানপাশে লম্বা ফাঁকা। বিলাসিতার কেয়ারি।
বাঁ-পাশেও ফাঁকা, অন্তত ট্রেন ছুটতে পারবে
ওপরের কথা বাদই থাক, ওপরওয়ালার এক্তিয়ার
নীচে ডেবে যাওয়া ভূপৃষ্ঠের খাদ, গভীর
একটা বাড়ি করার পরিকল্পনা হো-হো হেসে ওঠে
১৮/১২/২৪
__________
৩।
ফুলবাগান ফলবাগান চাবাগান
ফুল-ফল-চাবাগান ও আমাদের অস্থায়ী আবাস
মাছপুকুর শাপলাপুকুর ও আমার ঘরখানা
দেখি সূর্যমুখী, খাই আপেল, পান করি চা
মাছপুকুরে ছিপ-বর্শি-চার নিয়ে বসি
ঝামেলা বাধায় শাপলা, তারও ফুল ফুটেছে
উঠে পড়লেই ব্যাগ গুছিয়ে দেবে কেয়ারটেকার
১৮/১২/২৪
___________
৪।
অবলা সূর্যের তেজ পুড়িয়ে দিতে পারে শস্যের ঘিলু
শস্য আমার বুকে
সবলা চন্দ্রের জ্যোৎস্না স্নান করতে ভুলে গেলেও অশুচি হয় না
শুচি-অশুচি দুই-ই আমার মাথায়
অবলা তবলা মুহূর্তে মুখরা জাকিরচাটিতে লহড়াও
লহড়া আমার কানে
পুড়ে অশুচির লহড়া আমার সানাইয়ে সেই থেকে সংগতে
১৯/১২/২৪
___________
৫।
জোয়ারে ভেসে তীরে ফিরবে আশায় শুয়ে-বসে ছিল
যে-সব শামুক, কচ্ছপ, রামগুগলি, জোয়ার এলেও
তারা ফিরতে পারেনি গন্তব্যে
খুব ভোরে জলে-বালিতে হাঁটছে প্রভাত
একটাও কুড়োতে পারেনির মনখারাপ
লাল-কাঁকড়ার গর্ত ছেড়ে বার হওয়া-ঢোকা পুষিয়ে দিল
আজকের দিনটার মধ্যমণি কাঁকড়া, গায়ের রং লাল
২৭-১২-২৪
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,