
বীভৎস যুগপৎ
শিয়ালের গর্তে হাত ঢুকিয়ে বাচ্চা বের করে আনো
ওখানেই দূরবীন শাহ্ রোমা রঁল্যার সাথে বিশ্রাম নিচ্ছেন,
স্টার থিয়েটারের থেকে বেরিয়ে আসছে
উদ্দেশ্যহীন কিছু মুখ,
আর তখনই ডোবায় ভেসে উঠছে মুণ্ডহীন দুটো লাশ,
আমার ঘরের আত্মা আমাকে শনাক্ত করতে অস্বীকার করে, শালবনে বিপ্লবের উলুধ্বনি,
মুখোশনৃত্য আবহমান কালের প্রথা ভেঙে দিচ্ছে,
এ আমাদের দ্বৈত জন্মের পরমপ্রাপ্তি,
ভাল্লুকের লোমওয়ালা দুটো হাত তুলে নিচ্ছে
কূপ থেকে জল, সে জল আমাদের পান করতে হবে-
গিলে নিতে হবে অমৃত ভেবে,
কালো-সাদা সুতো কাটছে সকাল আর রাত্রির চিহ্ন,
সমস্ত সম্ভাবনা এসে জড়ো হয়েছে সকালের
খেলার মাঠের সামনে, ভ্রম মাখা সূর্যের আলো
প্রণাম সেরে নিচ্ছে নিষ্ঠুর অগোছালো বিছানাকে,
তড়ি-তরকারি ধুয়ে নিচ্ছে স্বচ্ছ তীব্র দুটি চোখ,
রান্নার কড়াইয়ে মিশে যাচ্ছে ভয়াল বিন্যাস,
পুনর্বিবেচনার আর কোনও সুযোগ থাকছে না,
থাকছে শুধু বাহুলতা, একটি নিঃসঙ্গ লোকের শার্ট,
কণ্ঠস্বরে ফুটে উঠছে চুমু খাওয়ার তৎপরতা,
কাজলের আভায় আমিও পুড়ে মরতে এসেছিলাম,
পরিশ্রান্ত তোমার সর্বাঙ্গ,
পাথুরে নদীর কাছে এক প্রচণ্ড চিৎকার
দিয়ে আমরা চলে যাব খুব ভোরে
হারিয়ে যাওয়া চিঠির সন্ধানে,
অস্ত্র তুলে নেব যখন ঠিক ঠিক যেরকম প্রয়োজন,
আর তো কোনও উপায় রইল না,
সমস্ত স্বপ্ন কারখানার সামনে
লাট খাওয়া ঘুড়ির মতো অস্থির,
পেটে লাথি খাওয়া মানসিকতার লাভা
লোলুপ প্রাণীর থাবায় তার প্রকাশ পায়,
নিরীহ ভঙ্গিমায় হেমন্ত-শীত আমাদের কতটা
আপন করে নিতে পেরেছে তা জানে
তোমার স্তনের উপর যেটুকু সাবানের ফেনা,
আমরা পরস্পরকে মাটির চায়ের ভাঁড় ধরিয়ে দেই,
আইজেনস্টাইনের নাক-মুখ-কান গলে পড়ছে
বিরক্তিকর ধর্মতলার যানজটে,
ছোট ক্লিপ বেঁধে তুমি সেখানেই এক বুক
মায়া নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকো—
তোমার নজর এড়িয়ে যায় না অশ্লীলতার বিজ্ঞাপন,
ভূতে বিস্ফোরণ ঘটায় আরো নিরীহ ভূতের উপর,
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পুলিশের টর্চের আলো পড়ে
ভেঙে যায় শরীরের আয়োজন,
হলুদ নিম পাতার উপর দিয়ে আমরা হেঁটে যাই—
অজানা নক্ষত্রের উদ্দেশ্যে বেজে ওঠে স্যাক্সোফোন,
মাঝখানে কেটে গেছে কুড়ি বছর,
আমরা পুড়িয়ে এসেছি প্রিয়জনেদের,
ছেড়ে এসেছি দেশের বাড়ি,
যত্নে তুলে রেখেছি বিয়ের আংটি,
রঙ্গ-তামাশার গায়ে পেরেক হাতুড়ি,
'ভালো দেখতে তো মেয়েটাকে'
বলা হয়নি অনেকদিন,
সমুদ্রতটে ভেঙে পড়ে আছে নারকোল গাছ,
আর তার জন্য আজ আর দায়ী করি না কোনও ঝড়কে,এখন আমি শুধু
তোমার গোপনাঙ্গের মধু পান করি
সারারাত...
তারপর এক ভোঁতা পেন্সিল নিয়ে বসে থাকি সাদা
খাতার দিকে তাকিয়ে,
মানুষ আঁকতে গিয়ে শুধু আঁকি পাঁচিল,
যুদ্ধের খবর ভেসে আসে গণহত্যার ডানা
ফট্ ছট্ ছট্ ফট্ কট্ খট্
কুলো থেকে খই আগুন স্পর্শ করে
ঠিক যেভাবে সরীসৃপের মুখের সামনে
মাংসের টুকরো রাখা হয়,
ওখানে আর্তনাদ মঞ্চ থেকে নেমে আসে
গোলারুটির নিকটে,
অনুষ্টুপ মজুমদার বলে ব্যাট ছুঁয়ে দৌড় দেন,
চলন্ত গাড়ি থেকে ড্রাইভার ঝাঁপ দেয় তার রক্ষিতার
আঁচলে, জঙ্গল আর কাঠকুটো সাক্ষী থাকে সেই দৃশ্যের,
পৃথিবী ফুলতে থাকে রাগে, কূল ভেসে যায়,
ব্যায়াম শেষে আয়নার কাচকে আপন মনে করে
পাইলট, সে জানে না ককপিট থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে,
ভাস্কর্য হয়ে আছে মামাবাড়ি,
বন্দিত্ব বড় আশ্চর্য লাগে আমার আজকাল,
পা হয়ে আছে গুঁড়ি, অথবা পাকদণ্ডী,
রাজাকারের দ্বীপ
বীভৎস যুগপৎ
সংশ্লিষ্ট পোস্ট

কয়েকটি কবিতা
সকল দ্বিধা। ফেলে দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি অন্ধকারে।এভাবেও ফেরা যায়।ফেরা কি সম্ভব?সাধুসঙ্গ টেনে আনে গার্হস্থের তুমুল আলোয়।দড়ি দড়া ছিড়ে ভেঙে পাখিও কি ফিরতে পারে পরিচিত শাখের জঠরে?

দুটি কবিতা
একা যে হাঁটছ যুবক এ বন পছন্দ বুঝি, ক'দিন এসেছ আগে শুনি বসো হেলান দিয়ে এই ফাল্গুনের ধ্বনি আর আগুনের পাশে বসে শুনি তোমার কথা সব

একটি স্নেহ চূড়া মৃত্যু .......
ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেমন যেন সে নয়ন আপন নয়ন হয়ে থাকে। কাছে থাকলে যদি অখিল স্রোতের বিড়ম্বনা আসে, একসময়ের পরিচিত একান্ত সংকেতগুলো হঠাৎ ঝড়ের মতন আবছা হয়ে আসে, ছেড়ে দেওয়ার পরেও সে কেমন একটা শিউলি শিউলি গন্ধ এই অবেলাতেও সারা গায়ে লেপ্টে রাখে,