২৫শে বৈশাখ সংখ্যা, ১৪৩২

উদয় সাহার দুটি কবিতা
তাড়া নেই। ঘড়ির উল্টো দিকে পথ চৈত্রে সামান্য তেলে নিমপাতা ভাজা দুয়ারে গোধূলি। বুকে বড়ো ভয় ওঠে প্রসাধন মানে জানি বোরোলিনে সাজা

এরশাদ হোসেনের তিনটি কবিতা
তিস্তা, আজ তোমায় লিখতে বসেছি পানির নিচে চাপা পড়া আমাদের ঘরের নামে। তুমি তো জানো— আমার বাবার সোনালী ধান কীভাবে তোমার হঠাৎ ক্ষুধায় তলিয়ে গিয়েছিল এক বর্ষায়।

এক গুচ্ছ ধান
ঘাস ছিলো আমাদের যাতায়াতের পথে বিছানো অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস পাড়ি দিয়ে দেখি আমরা হেঁটে চলেছি সমান্তরাল রাস্তায় আমাদের আর কোনোদিন দেখা হবেনা

সাদা ঘোড়া
এ মুহুর্তে শুক্রবারের শোভা ক্রমশ আয়ু ঘেঁসে , অমনোযোগী একটা সহজ কথা কী করে বুঝে যাও ? ফুসকুড়ি রঙের ডালিমে পা দিয়ে রাত্রির পরিসীমা গুণে!

বিভৎস যুগপৎ
শিয়ালের গর্তে হাত ঢুকিয়ে বাচ্চা বের করে আনো ওখানেই দূরবীন শাহ্ রোমা রঁল্যার সাথে বিশ্রাম নিচ্ছেন, স্টার থিয়েটারের থেকে বেরিয়ে আসছে উদ্দেশ্যহীন কিছু মুখ,

সৌভিক দত্তের দুটি কবিতা
গান ভাঙছো নদীর অথচ নদীর কোনও কৌতূহল নেই গান ভাবছো নদীর অথচ নদী চুপ করে আছে এসব ছড়াতে ছড়াতে

শো
অল্প দূরে, হয়তো বাড়ি থেকে দুই এক কিমি, বান্ধের পাড়। একটা শো শো আওয়াজ, কেমন একটা রহস্যময়ী, বিশেষ করে বেলা বয়ে যাওয়া বিকেলে, সাঁঝের মুখে। প্রায় প্রতিদিন শুনতে পেতাম।

নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
শরীরের ভেতর জমে যাচ্ছে কথা-অমনিবাস এই ক্রিয়া ক্রমে ঘ্রাণ হয়ে স্নায়ুতে বারবার রাবারছাপ ফ্রিজ হচ্ছে স্বাদু লংশট স্লো মোশানে আঙুল পড়ে নি

দহন
আমাকে ভালোবাসেন? হ্যাঁ।ভীষণ... কেনো? ইচ্ছে হয় তাই।

শূণ্য থেকে শুরু
মিথ্যে বুজরুকি আর অতিনাটকীয় এজলাস জিএসটি তে নাক উঁচু তবু কবজকুণ্ডলে গর্ব। পাবলিক খাচ্ছে ভালো দু টাকায় পেটে লাথ বোঝা কি বড়ই দায় শ্রী না হতশ্রী ?

মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ ও বৃদ্ধাশ্রম
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই শিশুরাই। একজন বাবা মায়ের কাছে তার একমাত্র ভবিষ্যত বা স্বপ্ন হলো তার সন্তান। এই সন্তানরা যেন হাসি খুশিতে থাকে সেটাই সকল বাবা-মা তথা গুরুজনদের লক্ষ্য।

সম্পাদকীয়
আবারও একটা কঠিন সময়ের সন্ধিক্ষণে ভারতবর্ষ। যে তীর্থভূমিতে স্নান করেছে গোটা বিশ্ব, যে তীর্থে বয়ে চলে গঙ্গা-যমুনার করুণা ধারা, যে তীর্থ পৃথিবীকে শিখিয়েছে মানুষের ধর্ম , সেই তীর্থেই একদিন ধর্মের নামেই বয়ে গেল রক্তের ধারা। যদিও এটা প্রথম নয় একদিন এই তীর্থভূমিকেই ধর্মের নামে খন্ডবিখন্ড করে দেওয়া হয়েছিল , চাষ করা হয়েছিল ধর্মের বিষবৃক্ষ। রবীঠাকুর , যিনি তাঁর স্বদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে, আজ তাঁরই কথা মনে পড়ছে বারবার। রবীন্দ্রনাথের মধ্যে বাস করত একটা গোটা ভারত বর্ষ, আর আমরা সেই ভারতবর্ষের উত্তরসূরি।

অ-সময়ের কবিতা
প্রতিটি আন্দোলনের ভেতর গর্জে উঠছে লকলকে জিভ। ক্ষুধার্ত সময় মানুষ দেখছে । ক্ষুধার্ত সময় মাংসের ভেতর খুঁচিয়ে আঁকছে তির্যক নখের আদর।

স্মরণে
জোড়াসাঁকোর প্রাসাদ থেকে, নিকেতন যেথায় শান্তি। রাখি বন্ধন সূচনা করে, আলিঙ্গনে সৌভ্রাতৃত্ব।

রুবেল মণ্ডলের দুটি কবিতা
ছোট্ট মেয়ে আমার হাতদুটো চেয়েছিল, তারপর চোখ... সে চেয়েছিল— রক্তাক্ত অবস্থায় আমি যেন সেগুলো তুলে দিই তার হাতে।

উমাপদ করের কয়েকটি কবিতা
হলো না, হয় না, যেমনটা জল চায়, ধর্ম মানে, সংসারটাও করে একই থেকে যায় ভৌত বা রসায়নে জঙ্গম ছাড়া বাতাস পারে না।

পিয়াল রায়ের দুটি কবিতা
তুমিও পালিয়ে বেড়াও আমিও পালিয়ে বেড়াই পালাতে পালাতে একদিন ঠেকে যাবে পিঠে দুজনের পিঠ