পুজো সংখ্যা, ১৪৩২

এম এ ওয়াহিদের দুটি কবিতা
ক্ষমা করো গাছ পাতা মৃয়মান নদী ক্ষমার যোগ্য হবো ক্ষমা করো যদি বাঁশ পাতা ঝোপঝাড় বাংলার মাঠ ক্ষমা করো রাত জেগে পুথি শ্লোক পাঠ।

সাকিল মাসুদের তিনটি কবিতা
আমি যতক্ষণ ততটুকুই সময়ের দৈর্ঘ্য। সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা— সবই কেবল বিভ্রম।

শিপু'র ঘর-সংসার
বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, ঘরে বসেই ভিজে যাচ্ছে শিপু।বাইরে ঝমঝমিয়ে জোছনা। শিপু জোছনা পেতে স্বপ্ন দেখে দোতালার বারান্দায় দুলছে দোলনা।

সমরজিৎ সিংহের হাইকু কবিতা
না-বলা কথা নিরভিমানে আজ গেছে হারিয়ে ।

শিবুর মেয়ে
পূর্ব আকাশে রক্তিম রবি উঁকি দিচ্ছে টুকরো মেঘের আড়াল থেকে। সেই নরম প্রভায় নদীর ধারে দোদুল্যমান রূপলি কাশফুল গুলো যেন সোনালী আভায় সেজে উঠেছে। বাড়ির পাশের নদীর স্রোতধারা অচেনা কোন সুরে গান গাইছে, যেন দেবিপক্ষের সকালে আগমনীর স্বাগত বার্তা।

নষ্ট চরিত্র
অকৃতদার সেজো কাকা যখন পথ থেকে এক অচেনা পনের-ষোল বছরের মেয়েকে ঘরে এনে তুললেন তখন বাড়ির সবাই অবাক হয়ে গেলেন!

দেওয়াল
দ্রুততম বর্বরতার জীবন - জনশূন্য! অসম্ভব ব্যস্ততা; অজগরের মত লম্বা সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল - জনহীন,

অন্ধকার আলোর বিপরীতে
বিষন্নতা এক ধরনের অসুখ । সাইরেনের সন্ধিহান সংকেত বেঁধে রেখেছে হারিয়ে যাওয়া দৃশ্যপট ।

দীপ মিত্রের কবিতা
এখনো তোমার ঠোঁটের ডগায়, জ্বলন্ত আধখানা সিগারেটের ওপর বসা-- হাউসফ্লাই জ্বলে যতটা কষ্ট পায়, অতটা না হলেও কিছুটা কষ্ট রয়ে গিয়েছে।

এমরান হাসানের দুটি কবিতা
আউশের ঘ্রাণ লেপ্টে আছে জলের শিথানে। পালাবদলের সুর বৃষ্টির রেশ দেখে যায় অলৌকিক বিভায় অথবা জৌলুস ঘিরেছে তাকে আহত বিম্বের মতোন শিলালিপিতে লিখে যাওয়া অনিশ্চিত অন্ধ ঘোর-ঘরানা যেমন।

পিয়াল রায়ের দুটি কবিতা
যখন স্নান সেরে আসি মনে হয় ভোরের আলোর মতো জড়িয়ে ধরি তাকে কপালে চুমো দিই, নাক ঘষে দিই নাকে শরীরে হাত রেখে বলি, 'আজ থেকে তুমিই দেবতা আমার সমস্ত আলো জ্বেলে নিকটস্থ হলে'

বেনামিবাউলের দুটি কবিতা
ওই দেখা যায় জ্বলছে আগুন মায়ের পেটে, নাভিতে জ্বাললো কারা পুড়িয়ে খেতে ভাগা ভাগির দাবিতে।

দুর্জয় দাসের দুটি কবিতা
অর্জন বলতে এটুকুই।মেহফিল ছাপিয়ে উঠছে রাত।রাতকানা সন্ধ্যার ভুলাইয়া।

তানহিম আহমেদের দুটি কবিতা
উড়ছে তালপাতার সেপাই এলবামের নিলয় ছিঁড়ে ছবিতাও ছুটিতে গেছে

শৌভিক দত্তের দুটি কবিতা
সদ্ব্যবহার করা দোলনার চারদিকে ঘেরা হাত দুলছি, নামতে পারছি না নামলেই পাথর লিখে ফেলবো,

নিরুপায় গ্রাম
ধানক্ষেতের পাশে ভেজা মাটির পথ, বৃষ্টির পর জমে থাকা জলে দাঁড়িয়ে মানুষ। হাতে বাঁশ, কেউ জাল ফেলছে পানির ভেতরে, কেউবা কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছে দূর থেকে।

এক রমণীর প্রতি নিবেদন
এক পলকে তোমায় নিয়ে ভাসতে থাকি কাগজের নৌকায়, আর এক ঘুমের পরে মৃত দেশের হাড় ধুলো হয়ে যায়, দৈত্য দানব আগুন রাতে

নীলাব্জ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
নির্মীয়মাণ একটা ভাঙচুর অর্থাৎ ক্রস করছে দূর বন্দরের কাছে সেই সিজরিং স্টেয়ারকেসজোড়া মনে পড়বে

পুজোর আনন্দ
চারিদিক স্তব্ধ কেবল, আগমনীর আভাস। শত সহস্র শ্বেত শুভ্র –

ডিসেম্বর
ঘুড়ি বাজিয়ে এলো দোলনায় অভিমান ওড়ে

বোবা অভিমান
পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্ম, কান্নাগুলো ঝুলে আছে খাদের কিনারে ।

শতানীক রায়ের দুটি কবিতা
এখন কোনো ভীষণ আনন্দ নেই অথচ আনন্দ আছে। কীভাবে হারমোনিয়াম নিয়ে বার বার ভাবছি।

সম্পাদকীয়
সময় বয়ে চলেছে, আমরাও চলেছি । তবে সভ্যতার দিকে নয় সভ্যতা থেকে দূরে, আমাদের অন্তিম কালের মৃত্যু শয্যায়! যে চলা প্রকৃতি থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে নেয়, ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে হারিয়ে যায় যোগসূত্র তাকে আর যাইহোক সভ্যতা বলা যায় না।

মহাজাগতিক মৃত্যু
অভ্যাসের হাত প্রথম প্রথম খোঁজ খবর নিয়ে যায় ভালো মন্দের সৌজন্য আলাপ পরিচিত গল্পের স্বাদ

সঙ্গীতা মাইতির দুটি কবিতা
তোমার কানে দিলাম নপূরের নিক্কণ, কণ্ঠে কবিগানের ধুয়া তারপর হারিয়ে গেলাম মেঠো পথের ঘ্রাণে

পিয়াস রশিদের দুটি কবিতা
আগুন ও ঝোড়ো হাওয়ার পটভূমিতে বাদা-মাটির বুকে কান পাতা জরুরি এ মাটির প্রতি ইঞ্চিতে ছোপ ছোপ রক্তের দলা এখানে জীবন আগুনের মতো জ্বলে

আগমন
একটা বিকেল, অনেক না বলা কথার পাহাড় -- বারংবার। ঝকমকে রোদ্দুর,

কাশফুল
কাশবনেতে কাশ ফুটেছে - তুমি সত্যিই মনোরম! কে যে তোমার পিতামাতা? তারাই বা কেমন?